জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক অভিযোগ করেছেন যে, গাজার সামরিক অভিযানে ইসরায়েল মানবাধিকারের প্রতি নজিরবিহীন অবজ্ঞা দেখিয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসও আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তুর্ক বলেন, গাজায় ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে, তার ভয়াবহতা কোনো কিছু দিয়েই আড়াল করা যাবে না। গাজা ও ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে নতুন এক প্রতিবেদন দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এই প্রতিবেদনে হামাসের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলা হয়। তুর্ক বলেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামাস প্রজেক্টাইল ছুড়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে দাবি তেল আবিবের। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গত দেড় বছর ধরে গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার মানুষের, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের অধিক।
তুর্ক গাজা যুদ্ধে সব পক্ষের আইনের লঙ্ঘন স্বতন্ত্রভাবে খতিয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে না বলেও তুর্ক সন্দেহ পোষণ করেন। হামাস বা অন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সাজা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা তাও জানা নেই তার।
তিনি জানান, সকল পক্ষের লঙ্ঘন তদন্ত করে দেখতে ইসরায়েল এবং তাদের দখলে থাকা এলাকায় প্রবেশে ওএইচসিএইচআর অনুরোধ করলেও তেল আবিবের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।