ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেওয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের থেকে মুচলেকা নিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়!

ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর স্কলারশিপের আওতায় রাজনৈতিক কার্যকলাপ এবং সংবেদনশীল এলাকা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এই মর্মে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে তাদের। এসব শর্ত লঙ্ঘন করলে স্কলারশিপ বাতিল এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

আইসিসিআর অধীনে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬৪০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করার শর্ত নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ বা ভারতের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারবেন না। এছাড়াও, তারা ভারতের কোনো সীমান্ত/নিষিদ্ধ/সুরক্ষিত এলাকা ভ্রমণ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই শর্তাবলী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সরকারি নীতির অংশ হিসাবে এই অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় ক্যাম্পাসগুলিতে রাজনৈতিক বিভাজন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যায় রয়েছে। এই শর্তাবলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেওয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের থেকে মুচলেকা নিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়!

প্রকাশিত: ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর স্কলারশিপের আওতায় রাজনৈতিক কার্যকলাপ এবং সংবেদনশীল এলাকা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এই মর্মে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে তাদের। এসব শর্ত লঙ্ঘন করলে স্কলারশিপ বাতিল এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

আইসিসিআর অধীনে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬৪০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করার শর্ত নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ বা ভারতের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারবেন না। এছাড়াও, তারা ভারতের কোনো সীমান্ত/নিষিদ্ধ/সুরক্ষিত এলাকা ভ্রমণ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই শর্তাবলী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সরকারি নীতির অংশ হিসাবে এই অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় ক্যাম্পাসগুলিতে রাজনৈতিক বিভাজন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যায় রয়েছে। এই শর্তাবলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।