সুদানে আবাসিক এলাকায় সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। অ্যান্টোনভ নামের ওই বিমানটি মঙ্গলবার রাতে বিধ্বস্ত হয়।
আল জাজিরার এক প্রতিবেন থেকে থাকা যায়, সুদানের রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওমদুরমানের উত্তরাঞ্চলে ওয়াদি সাইদনা সামরিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ওমদুরমানের কারারি জেলার একটি বেসামরিক বাড়ির ওপর। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ দুর্ঘটনায় ১৭ জন সামরিক কর্মকর্তার পাশাপাশি ২৯ জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে খার্তুমের সিনিয়র কমান্ডার মেজর জেনারেল বাহর আহমেদও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সুদানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, দুর্ঘটনায় সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং অগ্নিনির্বাপণ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। সামরিক সূত্রগুলো সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ওমদুরমানের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান দুর্ঘটনার সময় তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এ সময় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়।
সুদানের সামরিক বাহিনী ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ কমান্ডার মোহামেদ হামদান দাগলোর মধ্যে সরকার কাঠামো নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ার পর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সুদান ও খার্তুমে আরএসএফের বিরুদ্ধে বহুমুখী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করছে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিকে সর্বশেষ বিমান দুর্ঘটনা ঘটার এক দিন আগে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় রাশিয়ায় নির্মিত ইলিউশিন বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করেছিল আরএসএফ।