ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি বরগুনার সড়ক ও মহাসড়কে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ আদালতের চবির চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি, কুয়েট ভিসির বাসভবনে তালা না দিয়েই ফিরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেলেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান এবং হ্যান্ডমাইকে উপাচার্যের বাসভবনে যারা রয়েছেন তাদের ৫ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে বাসা খালি করে দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় ভেতরে উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন।

শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে হ্যান্ডমাইকে তাদের দাবি জানান।শিক্ষকরা গেটের কাছে এসে শিক্ষার্থীদের তালা লাগানোর উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান। তারা যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে তালা লাগানো হলে গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন। শিক্ষকদের প্রতিবাদের পর শিক্ষার্থীরা তালা না দিয়ে ফিরে যান। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তারপরও কিছু শিক্ষার্থী আবাসিকে এসে উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিতে চেয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করেছি। কুয়েটের ভালোর জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটির সীমা অতিক্রম করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সে পর্যন্ত তাদের সহায়তা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হলে পদত্যাগ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন আমি।”

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে উত্তেজনা চলছে। শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় কুয়েটের প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

জনপ্রিয়

কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি, কুয়েট ভিসির বাসভবনে তালা না দিয়েই ফিরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেলেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান এবং হ্যান্ডমাইকে উপাচার্যের বাসভবনে যারা রয়েছেন তাদের ৫ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে বাসা খালি করে দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় ভেতরে উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন।

শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে হ্যান্ডমাইকে তাদের দাবি জানান।শিক্ষকরা গেটের কাছে এসে শিক্ষার্থীদের তালা লাগানোর উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান। তারা যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে তালা লাগানো হলে গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন। শিক্ষকদের প্রতিবাদের পর শিক্ষার্থীরা তালা না দিয়ে ফিরে যান। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তারপরও কিছু শিক্ষার্থী আবাসিকে এসে উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিতে চেয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করেছি। কুয়েটের ভালোর জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটির সীমা অতিক্রম করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সে পর্যন্ত তাদের সহায়তা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হলে পদত্যাগ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন আমি।”

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে উত্তেজনা চলছে। শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় কুয়েটের প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।