ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে। এর প্রেক্ষিতে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভক্তি দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করতে রাজি হয়নি, যার কারণে এই বিভাজন ঘটে। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে এই বিভাজন আরও বাড়ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউরোপ সমর্থিত ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যেটি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধের জন্য উত্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র একটি সংশোধনী প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে, যেখানে রাশিয়াকে আগ্রাসী উল্লেখ করে ফ্রান্স প্রস্তাব এনেছিল।
জাতিসংঘে এই পরিস্থিতি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত বিশ্ব মতামতের নির্দেশক হিসেবে দেখা হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি মূল খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করে, যার পক্ষে ভোট পড়ে ১০টি। ৫টি ইউরোপীয় দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও মেক্সিকো সমর্থন দিয়েছে। তবে, হাঙ্গেরি এ কাতারে শামিল হয়নি।
জেলেনস্কির মন্তব্যে টানাপোড়েন চলাকালে, মাখোঁ যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন।
গতকাল সাধারণ অধিবেশনে ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের পক্ষে ৯৩টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে ১৮টি, এবং ৬৫ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। এর প্রেক্ষিতে, মার্কিন খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা ৯৩-৮ ভোটে পাস হয়।