রমজান মাস উপলক্ষে গাজা উপত্যকার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। শুক্রবার, কার্গো বিমানযোগে শত শত টন খাদ্যসামগ্রী গাজায় পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইউএই থেকে পাঁচটি কনভয় বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছেছে।
মিশর থেকে গাজার দিকে প্রবেশ করা কনভয়গুলোর মাধ্যমে ৭৩টি ট্রাকের মাধ্যমে ১,১৮৫ টনের বেশি ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, তাবু এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউএই কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
ইসরাইলের ১৫ মাসব্যাপী ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে বর্তমানে ৪৮,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় সহায়তার প্রবাহ বাড়ানো হয়েছে, তবে বর্তমানে সেখানে খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে লাখো মানুষ মানবিক দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
শুক্রবার অপারেশন চিভালরাস নাইট ৩-এর আওতায় আরব আমিরাত থেকে ২৫৭ টন রমজানের খাদ্যসামগ্রী গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। এই ত্রাণসামগ্রী ফুজাইরাহ থেকে পাঠানো হয়েছে হামাদ বিন মোহাম্মদ আল-শারকি ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কস এবং ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে।
ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাঈদ বিন মোহাম্মদ আল-রাকবানি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ আরব আমিরাতের নেতৃত্বের নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
এ পর্যন্ত, অপারেশনটির আওতায় ইউএই ৩৭,৩০০ টনের বেশি মানবিক সহায়তা ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তবে রমজান মাসে গাজার জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে এবং এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র হয়েছে, যাতে গাজার জনগণ এই পবিত্র মাসে অন্তত ন্যূনতম মানবিক সহায়তা পেতে পারে।