ব্রাজিলের আমাজনের মারানহো প্রদেশের বুরিতিকুপু শহরে একাধিক সিঙ্কহোল বা বৃহদাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি ভবন ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই গর্তগুলোতে আরও কয়েকশো বাড়ি ধ্বসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শহরটিতে মোট ৫৫ হাজার মানুষের বসবাস, এবং তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষের বাড়ি এই গর্তগুলোর মধ্যে পড়ে ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েক মাসে এই গর্তগুলোর পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এখন তা আবাসিক এলাকাগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, বুরিতিকুপু শহরে গত ৩০ বছর ধরেই সিঙ্কহোলের সৃষ্টি হলেও সম্প্রতি অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গর্তগুলো এখন অনেক বড় হয়ে উঠেছে এবং শহরের আবাসিক ভবনগুলোর কাছাকাছি চলে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, মাটি ক্ষয়, এবং অপরিকল্পিত বন উজাড় এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
মারানহাউ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলবিদ অধ্যাপক মার্সিলিনো ফারিয়াস বলেছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিঙ্কহোলের সৃষ্টি আরও তীব্র হয়েছে। স্থানীয় সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং সরকারি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছেন। জরুরি ব্যবস্থার আওতায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার কোনও আশ্বাস নেই।