দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দুদিনব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনীতি, বাণিজ্য বিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন, ঋণ সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে এবারের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, ঋণ সংকট এবং ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই বৈঠকে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। এবারের সম্মেলন আফ্রিকা মহাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি দরিদ্র দেশগুলোর স্বার্থরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তন ও ঋণ সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়েছে।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা ও রুশপন্থি দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রনীতির কারণে বৈশ্বিক কূটনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তনের প্রভাবও আলোচনায় উঠে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে চীন বৈশ্বিক কূটনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ পেয়েছে। চীন আফ্রিকা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গেও অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করছে।
বৈঠকের মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য, ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা। যদিও দেশগুলোর মধ্যে মতের বিভাজন রয়ে গেছে, তবুও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বৈঠক শেষ হয়। এই সম্মেলন আফ্রিকা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।