ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

রপ্তানিতে ১৪ বিলিয়ন ডলার গরমিল, প্রমাণ চায় আইএমএফ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০২৮৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের  রপ্তানি আয়ের হিসাবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের গরমিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এত বিপুল পরিমাণ ডলার কীভাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বেশি দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা শনাক্ত করেছে—সেসব কাগজপত্র যাচাই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

এ বিষয়ে গভর্নরের অবস্থান জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্নভাবে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একপর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব একেবারে সঠিক। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদি সংশয় থাকে আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে সব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইএমএফ রপ্তানি আয়ের মিসম্যাচ ডেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে পরবর্তীতে বিশেষ প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইস্যুটি খতিয়ে দেখার বিষয়ে গভর্নরকে অবহিত করা হয়। তাঁরা বাণিজ্য ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ, ডলার মার্কেট এবং রিজার্ভ নিয়েও আলোচনা করেন।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে ১৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তথ্যে হেরফের দেখা দেয়। পরে ইপিবির রপ্তানি আয় থেকে গরমিলের ওই পরিমাণ বাদ দেওয়া হয়। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের হিসাব এলোমেলো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় পরিবর্তন হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আর ইপিবির তথ্যে রপ্তানি দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

একই দিনে আইএমএফের কাছ থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজে ব্যবহার করার কথা জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় হবে। তবে আইএমএফের কাছে কত ঋণ চাওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সেটি জানার পর আইএমএফকে সহায়তার অঙ্ক জানানো হবে।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

রপ্তানিতে ১৪ বিলিয়ন ডলার গরমিল, প্রমাণ চায় আইএমএফ

প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের  রপ্তানি আয়ের হিসাবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের গরমিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এত বিপুল পরিমাণ ডলার কীভাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বেশি দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা শনাক্ত করেছে—সেসব কাগজপত্র যাচাই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

এ বিষয়ে গভর্নরের অবস্থান জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্নভাবে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একপর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব একেবারে সঠিক। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদি সংশয় থাকে আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে সব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইএমএফ রপ্তানি আয়ের মিসম্যাচ ডেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে পরবর্তীতে বিশেষ প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইস্যুটি খতিয়ে দেখার বিষয়ে গভর্নরকে অবহিত করা হয়। তাঁরা বাণিজ্য ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ, ডলার মার্কেট এবং রিজার্ভ নিয়েও আলোচনা করেন।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে ১৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তথ্যে হেরফের দেখা দেয়। পরে ইপিবির রপ্তানি আয় থেকে গরমিলের ওই পরিমাণ বাদ দেওয়া হয়। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের হিসাব এলোমেলো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় পরিবর্তন হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আর ইপিবির তথ্যে রপ্তানি দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

একই দিনে আইএমএফের কাছ থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজে ব্যবহার করার কথা জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় হবে। তবে আইএমএফের কাছে কত ঋণ চাওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সেটি জানার পর আইএমএফকে সহায়তার অঙ্ক জানানো হবে।