ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

সাত দিনের মধ্যে ভিসিসহ তিন পদে নিয়োগ না হলে আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর। পদত্যাগের ১৫ দিনেও এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে কেউ না থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এজন্য দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে লোকবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাত দিনের মধ্যে এ তিন পদে নিয়োগ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য রয়েছে। ভিসি ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস রয়েছে। সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীর বেতন–ভাতাসহ নানাবিধ খরচের বিষয় রয়েছে, যাতে ভিসি এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এছাড়া সনদ তুলতে উপাচার্যের স্বাক্ষর লাগে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ হয়ে যায় অবশ্যই এই দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। যদি আগের ট্রাস্টি বোর্ডের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য পলাতক রয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেওয়া হয় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো–ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ বা কাল আমাদের প্রতিনিধিদল ভিসি, প্রো–ভিসি, ট্রেজারারের লিস্ট নিয়ে ঢাকা রওয়া হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমাদেরকে এ বিষয়ের একটা অগ্রগতি জানাতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ থেকে ৭ হাজার পরিবার জড়িত। সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর অনুপম সেন, উপ–উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

সাত দিনের মধ্যে ভিসিসহ তিন পদে নিয়োগ না হলে আন্দোলন

প্রকাশিত: ০৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর। পদত্যাগের ১৫ দিনেও এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে কেউ না থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এজন্য দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে লোকবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাত দিনের মধ্যে এ তিন পদে নিয়োগ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য রয়েছে। ভিসি ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস রয়েছে। সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীর বেতন–ভাতাসহ নানাবিধ খরচের বিষয় রয়েছে, যাতে ভিসি এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এছাড়া সনদ তুলতে উপাচার্যের স্বাক্ষর লাগে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ হয়ে যায় অবশ্যই এই দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। যদি আগের ট্রাস্টি বোর্ডের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য পলাতক রয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেওয়া হয় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো–ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ বা কাল আমাদের প্রতিনিধিদল ভিসি, প্রো–ভিসি, ট্রেজারারের লিস্ট নিয়ে ঢাকা রওয়া হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমাদেরকে এ বিষয়ের একটা অগ্রগতি জানাতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ থেকে ৭ হাজার পরিবার জড়িত। সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর অনুপম সেন, উপ–উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ।