ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৮ অক্টোবর

স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৮ অক্টোবর। আগামী ৩০ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে। মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারপর উপজেলা-থানা, জেলা, উপ-অঞ্চল, অঞ্চল ও সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হবে। এ প্রতিযোগিতায় তিনটি খেলা থাকছে। এগুলো হলো- কাবাডি, দাবা ও সাঁতার।

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে (স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি-ভোকেশনাল) এ প্রতিযোগিতা হবে ৮ অক্টোবর। তারপর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর, জেলা পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর, উপ-অঞ্চল পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর, অঞ্চল পর্যায়ে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর এবং সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিযোগিতার সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত নিয়মানুসারে সব খেলা পরিচালিত হবে। বিদ্যালয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র এবং টি.সি. (মূল কপি) অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইএসআইএফ লিস্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। লেমিনেটিং কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির অনলাইন কপি প্রদর্শন করতে হবে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জে.এস.সি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এর মূলকপি এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনলাইন ভেরিফিকেশন জন্ম নিবন্ধন কপি (রঙিন) প্রদর্শন করতে হবে। বিদ্যালয়ের ইআইআইএন নম্বর গঠনতন্ত্রের ‘ক’ ফরমের উপরে উল্লেখ করতে হবে। স্ব-স্ব দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।

একই প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ও কারিগরি (ভোকেশনাল) শিক্ষার্থী থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদেরকে নিয়ে দল গঠন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স অনূর্ধ্ব ১৭ বছর হতে হবে এবং গঠনতন্ত্রের অন্যান্য নিয়মাবলি যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন-সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা ও থানায় বিজয়ীদের তালিকা খেলোয়াড়দের ছবিসহ জেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা উপ-অঞ্চল পর্যায়ে এবং পিডিএফ ফাইলে ইমেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে। উপ-অঞ্চলে বিজয়ীদের তালিকা অঞ্চল পর্যায়ে এবং অঞ্চল পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা জাতীয় পর্যায়ে সম্পাদকের কাছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিল-স্বাক্ষরসহ পাঠাতে হবে।

এ ছাড়াও ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৩টি খেলা (কাবাডি, দাবা ও সাঁতার) নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার যে সময় রাখা হয়েছে তখন চলবে দুর্গাপূজা। এ নিয়ে সনাতম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন অনেকেই।

জনপ্রিয়

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৮ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৮ অক্টোবর। আগামী ৩০ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে। মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারপর উপজেলা-থানা, জেলা, উপ-অঞ্চল, অঞ্চল ও সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হবে। এ প্রতিযোগিতায় তিনটি খেলা থাকছে। এগুলো হলো- কাবাডি, দাবা ও সাঁতার।

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে (স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি-ভোকেশনাল) এ প্রতিযোগিতা হবে ৮ অক্টোবর। তারপর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর, জেলা পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর, উপ-অঞ্চল পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর, অঞ্চল পর্যায়ে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর এবং সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিযোগিতার সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত নিয়মানুসারে সব খেলা পরিচালিত হবে। বিদ্যালয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র এবং টি.সি. (মূল কপি) অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইএসআইএফ লিস্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। লেমিনেটিং কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির অনলাইন কপি প্রদর্শন করতে হবে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জে.এস.সি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এর মূলকপি এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনলাইন ভেরিফিকেশন জন্ম নিবন্ধন কপি (রঙিন) প্রদর্শন করতে হবে। বিদ্যালয়ের ইআইআইএন নম্বর গঠনতন্ত্রের ‘ক’ ফরমের উপরে উল্লেখ করতে হবে। স্ব-স্ব দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।

একই প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ও কারিগরি (ভোকেশনাল) শিক্ষার্থী থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদেরকে নিয়ে দল গঠন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স অনূর্ধ্ব ১৭ বছর হতে হবে এবং গঠনতন্ত্রের অন্যান্য নিয়মাবলি যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন-সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা ও থানায় বিজয়ীদের তালিকা খেলোয়াড়দের ছবিসহ জেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা উপ-অঞ্চল পর্যায়ে এবং পিডিএফ ফাইলে ইমেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে। উপ-অঞ্চলে বিজয়ীদের তালিকা অঞ্চল পর্যায়ে এবং অঞ্চল পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা জাতীয় পর্যায়ে সম্পাদকের কাছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিল-স্বাক্ষরসহ পাঠাতে হবে।

এ ছাড়াও ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৩টি খেলা (কাবাডি, দাবা ও সাঁতার) নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার যে সময় রাখা হয়েছে তখন চলবে দুর্গাপূজা। এ নিয়ে সনাতম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন অনেকেই।