ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত: ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।