ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

যুক্তরাজ্যে ই-ভিসা নিয়ে বিপাকে হাজারো বাংলাদেশি

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, কিন্তু ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিতে ইচ্ছুক নন—এমন মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। এদের সঙ্গে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন আসা অন্তত কয়েক হাজার বাংলাদেশি তাদের ব্রিটেনের ভিসার বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট পারমিট (বিআরপি) কার্ডকে ই-ভিসায় রূপান্তর নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিতে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।

 

ডিজিটাল ই-ভিসাগুলো বিআরপি-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি যুক্তরাজ্যে বসবাস, কাজ ও সুবিধা গ্রহণের নথি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

 

সম্প্রতি জানা গেছে, হোম অফিসের প্রোগ্রামিং সিস্টেমের সমস্যার কারণে ই-ভিসা স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। আর তা খোদ হোম অফিসও স্বীকার করেছে।

 

মানবাধিকার কর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, ব্রিটেনে বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করা হাজার হাজার মানুষ নতুন ই-ভিসায় প্রবেশাধিকার ও তাদের অভিবাসনের বর্তমান অবস্থা প্রমাণ করতে অক্ষম হতে পারেন।

 

প্রথমবার ই-ভিসা চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয় পূর্ববর্তী টোরি সরকারের আমলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। তখন বলা হয়েছিল, ব্রিটেনে বসবাস, কাজ কিংবা অধ্যয়নে আসা ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে এটি চালু করা হবে।

 

কিন্তু নতুন ডিজিটাল সিস্টেমে প্রবেশ করতে না পারা আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। আইটি ত্রুটির কারণে অনেক মানুষ বিদেশে আটকা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

হোম অফিস এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় চার মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে, যাতে মানুষ সহজে ই-ভিসা পেতে পারে। এ সপ্তাহে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি জাতীয় প্রচারণা চালু হওয়ার কথা ছিল।

 

তবে, অভিবাসনমন্ত্রী সীমা মালহোত্রা প্রোগ্রামের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত করতে চান বলে মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে।

 

ব্রিটেনে কাজ, অধ্যয়ন, ঘর ভাড়া নেওয়া কিংবা যে কোনও নাগরিক সুবিধা পেতে ই-ভিসা সহজ সমাধান হবে বলে সরকার দাবি করে আসছিল।

 

এসেক্স ও লন্ডনের উদ্বাস্তু ও অভিবাসী ফোরামের প্রচারণার প্রধান নিক বেলস বলেছেন, জুন মাসে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে থ্রি-সি স্ট্যাটাসে থাকা ব্যক্তিদের ডিজিটাল প্রমাণ প্রদানে সরকারের ব্যর্থতা বেআইনি। নতুন সরকার এই রায় কার্যকর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা প্রমাণ করে তারা উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারি থেকে কিছুই শিখেনি।

 

এই বিষয়ে লন্ডনের ল ম্যাট্রিক সলিসিটর্সের ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দীন সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস প্রমাণে আগে বিআরপি কার্ড ব্যবহার করা হতো। এটি তৈরি ও ব্যবহারে আর্থিক খরচ ও জটিলতা কমাতে ২০২৩ সালে হোম অফিস সবাইকে ই-ভিসায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিআরপি ব্যবহার করা যাবে। এরপর যারা ই-ভিসায় রূপান্তর করতে পারবেন না, তাদের জন্য হোম অফিস বিকল্প ব্যবস্থা রাখবে। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

যুক্তরাজ্যে ই-ভিসা নিয়ে বিপাকে হাজারো বাংলাদেশি

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, কিন্তু ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিতে ইচ্ছুক নন—এমন মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। এদের সঙ্গে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন আসা অন্তত কয়েক হাজার বাংলাদেশি তাদের ব্রিটেনের ভিসার বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট পারমিট (বিআরপি) কার্ডকে ই-ভিসায় রূপান্তর নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিতে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।

 

ডিজিটাল ই-ভিসাগুলো বিআরপি-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি যুক্তরাজ্যে বসবাস, কাজ ও সুবিধা গ্রহণের নথি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

 

সম্প্রতি জানা গেছে, হোম অফিসের প্রোগ্রামিং সিস্টেমের সমস্যার কারণে ই-ভিসা স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। আর তা খোদ হোম অফিসও স্বীকার করেছে।

 

মানবাধিকার কর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, ব্রিটেনে বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করা হাজার হাজার মানুষ নতুন ই-ভিসায় প্রবেশাধিকার ও তাদের অভিবাসনের বর্তমান অবস্থা প্রমাণ করতে অক্ষম হতে পারেন।

 

প্রথমবার ই-ভিসা চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয় পূর্ববর্তী টোরি সরকারের আমলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। তখন বলা হয়েছিল, ব্রিটেনে বসবাস, কাজ কিংবা অধ্যয়নে আসা ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে এটি চালু করা হবে।

 

কিন্তু নতুন ডিজিটাল সিস্টেমে প্রবেশ করতে না পারা আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। আইটি ত্রুটির কারণে অনেক মানুষ বিদেশে আটকা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

হোম অফিস এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় চার মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে, যাতে মানুষ সহজে ই-ভিসা পেতে পারে। এ সপ্তাহে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি জাতীয় প্রচারণা চালু হওয়ার কথা ছিল।

 

তবে, অভিবাসনমন্ত্রী সীমা মালহোত্রা প্রোগ্রামের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত করতে চান বলে মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে।

 

ব্রিটেনে কাজ, অধ্যয়ন, ঘর ভাড়া নেওয়া কিংবা যে কোনও নাগরিক সুবিধা পেতে ই-ভিসা সহজ সমাধান হবে বলে সরকার দাবি করে আসছিল।

 

এসেক্স ও লন্ডনের উদ্বাস্তু ও অভিবাসী ফোরামের প্রচারণার প্রধান নিক বেলস বলেছেন, জুন মাসে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে থ্রি-সি স্ট্যাটাসে থাকা ব্যক্তিদের ডিজিটাল প্রমাণ প্রদানে সরকারের ব্যর্থতা বেআইনি। নতুন সরকার এই রায় কার্যকর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা প্রমাণ করে তারা উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারি থেকে কিছুই শিখেনি।

 

এই বিষয়ে লন্ডনের ল ম্যাট্রিক সলিসিটর্সের ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দীন সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস প্রমাণে আগে বিআরপি কার্ড ব্যবহার করা হতো। এটি তৈরি ও ব্যবহারে আর্থিক খরচ ও জটিলতা কমাতে ২০২৩ সালে হোম অফিস সবাইকে ই-ভিসায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিআরপি ব্যবহার করা যাবে। এরপর যারা ই-ভিসায় রূপান্তর করতে পারবেন না, তাদের জন্য হোম অফিস বিকল্প ব্যবস্থা রাখবে। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।