ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
রোববার (১ ডিসেম্বর) এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা এমন কিছু বিবেচনা করছি না। আমরা ইউক্রেনকে প্রচলিত অস্ত্র সরবরাহ করছি যাতে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। তবে পারমাণবিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না।”
সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদের শেষদিকে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। তবে এ ধরনের সম্ভাবনাকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সুলিভান।
রাশিয়া এ ধারণাকে “সম্পূর্ণ উন্মত্ততা” আখ্যা দিয়ে বলেছে, “এমন একটি পরিস্থিতি প্রতিরোধ করাই ইউক্রেনে আমাদের সামরিক অভিযানের অন্যতম কারণ।”
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর উত্তরাধিকারসূত্রে পারমাণবিক অস্ত্র পেয়েছিল ইউক্রেন। তবে ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম চুক্তির অধীনে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নিরাপত্তা আশ্বাসের বিনিময়ে ইউক্রেন সেই অস্ত্রগুলো জমা দেয়।
এদিকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেন সফরে গেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। স্থানীয় সময় সোমবার (২ ডিসেম্বর) ইউক্রেন সফরে তিনি ৬৮৩ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
শলৎস তার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন, “আমি আজ রাতে ট্রেনে করে কিয়েভ ভ্রমণ করছি। এটি এমন একটি দেশ, যারা এক হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে আসছে।” তিনি আরও বলেন, “জার্মানি ইউরোপে ইউক্রেনের সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক হয়ে থাকবে। আমরা যা করি তা বলি এবং যা বলি তা-ই করি।”
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রতিশ্রুতি কিয়েভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা নতুন মোড় নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মিত্ররা যেখানে কৌশলগতভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে, রাশিয়ার হুমকি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।