স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে আদালত ও শ্রমিকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর নোংরা রাজনীতি পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে ‘রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন’।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি।
ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ পরবর্তী পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের গণঅবস্থান কর্মসূচি ও দাবি তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম।
তারা জানান, বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত যানবাহন রয়েছে। এর সঙ্গে অন্তত ১২ লাখ মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করছে। ফলে এসব সমস্যা সমাধানে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ দফা বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো
(১) ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
(২) দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুট পারমিট দিতে হবে।
(৩) চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
(৪) ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
(৫) শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করতে হবে।
(৬) সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ করতে হবে।
(৭) আন্দোলনে আটক ও গ্রেফতারদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৮) ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন ও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
(৯) জব্দকৃত সব ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও ব্যাটারি মালিকের কাছে হস্তান্তর এবং নিলামকৃত ব্যাটারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
(১০) চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করতে হবে।
(১১) শ্রমিকদের ওপর সব জুলুম-নির্যাতন-চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
(১২) মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের পুঁজিকে নিরাপদ করে পর্যায়ক্রমে প্যাডেলচালিত বাহনের শ্রম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে।