প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে। তারা ভিসা দেবে কী দেবে না তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে জানিয়েছেন ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ। তিনি গতকাল দুপুরে গাজীপুরের সফিপুরে নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুবসমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান, সৌদি আরব থেকে আগত ওয়ামি সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু। এ সময় ওয়ামি প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ফয়সাল সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর, ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ওয়ামি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ রেদওয়ানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে অতিথিরা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন এবং নির্মিতব্য হাসপাতাল ও স্কুল ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আয়োজকরা জানান, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতলবিশিষ্ট মসজিদ, ১০০ এতিম শিশুর জন্য মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, একটি ক্যাডেট মাদ্রাসা, একটি নুরানী ও হিফজ মাদ্রাসা, একটি লাইব্রেরি হল, একটি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষাার্থীদের ডিজিটাল লার্নিংয়ের জন্য আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়া কমপ্লেক্সে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।