ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, বডি শেমিং, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্লাসে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের নজরদারি, নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যসহ নানা অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়াকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিভাগের অফিস ও ক্লাসরুমসমূহে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ এসে এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

 

 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো- ২০২১-২২ স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়াকে অপসারণ করা; এই শিক্ষাবর্ষের কোর্সের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করে অন্য দায়িত্বশীল ও যোগ্য শিক্ষককে নিযুক্ত করা; তাকে কোনো কোর্সের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পরীক্ষক হিসেবে রাখা হবেনা, তা নিশ্চিত করা; ভবিষ্যতে যাতে এই ডিপার্টমেন্টে কোনো ব্যাচ বা শিক্ষার্থী যেন এ ধরনের ঘটনাগুলোর সম্মুখীন না হয়, সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা; অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুনরায় ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে যেন পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা এবং উল্লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়াকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতিপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।

 

 

সরেজমিনে শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, অধ্যাপক আমির হোসেন ভুঁইয়া বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা ও বডি শেমিং করেন। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্লাসে কথা বলেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কি করছে এসব বিষয়ে নজরদারি করে ক্লাসে আলোচনা করেন। প্রেজেন্টেশনের সময় ছেলেদের যথাযথ অগ্রাধিকার না দেওয়াসহ নাম্বারের ক্ষেত্রে বৈষম্য করেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

 

এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ। এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশিত: ০৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, বডি শেমিং, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্লাসে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের নজরদারি, নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যসহ নানা অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়াকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিভাগের অফিস ও ক্লাসরুমসমূহে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ এসে এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

 

 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো- ২০২১-২২ স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়াকে অপসারণ করা; এই শিক্ষাবর্ষের কোর্সের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করে অন্য দায়িত্বশীল ও যোগ্য শিক্ষককে নিযুক্ত করা; তাকে কোনো কোর্সের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পরীক্ষক হিসেবে রাখা হবেনা, তা নিশ্চিত করা; ভবিষ্যতে যাতে এই ডিপার্টমেন্টে কোনো ব্যাচ বা শিক্ষার্থী যেন এ ধরনের ঘটনাগুলোর সম্মুখীন না হয়, সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা; অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুনরায় ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে যেন পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা এবং উল্লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়াকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতিপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।

 

 

সরেজমিনে শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, অধ্যাপক আমির হোসেন ভুঁইয়া বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা ও বডি শেমিং করেন। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্লাসে কথা বলেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কি করছে এসব বিষয়ে নজরদারি করে ক্লাসে আলোচনা করেন। প্রেজেন্টেশনের সময় ছেলেদের যথাযথ অগ্রাধিকার না দেওয়াসহ নাম্বারের ক্ষেত্রে বৈষম্য করেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

 

এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ। এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।