গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বৃদ্ধিতে সীমিত হলেও সন্তোষজনক পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। ফলে, এক মাস আগে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা সীমিত করার হুমকি আপাতত কার্যকর করবে না বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ইসরায়েল আপাতত মার্কিন আইনের লঙ্ঘন করার কোনও প্রমাণ তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসেনি।
প্যাটেলের উল্লেখ করা আইন অনুসারে, সামরিক সহায়তা প্রাপ্ত দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েলকে মার্কিন প্রশাসন ছাড় দিচ্ছে না। তাদের চাওয়া, সামগ্রিকভাবে মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি হোক। কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সহায়ক হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
এদিকে, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো বলছে, ১৩ মাসের যুদ্ধে পরিস্থিতি সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় আছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি,গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। এরকম সময়ে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিলো ওয়াশিংটন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি শীঘ্রই দেখা দিতে পারে।
গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য গত মাসে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। গেল মঙ্গলবার এই সময় শেষ হয়। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আটটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল শুধু মার্কিন মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়নি, বরং এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা আরও মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এক মাস আগের তুলনায় অবস্থা এখন আরও ভয়াবহ।