ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

আখতারকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ না দিলে সড়ক-রেলপথ অবরোধ করা হবে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আখতার হোসেনসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে পাঁচ জনকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে এই দুই বিভাগ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে কাউকে না রাখায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রাজপথ-রেলপথ ব্লকেডসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে রংপুর নগরী থেকে মিছিল নিয়ে আড়াই কিলোমিটার দূরে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 

তারা মহাসড়কে শুয়ে অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে রংপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন। অবরোধ করার কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।

 

ছাত্র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, আবু সাঈদের রংপুরের মানুষ আর কখনও বৈষম্যের শিকার হবে না। তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের একজন প্রতিনিধি নেননি। এ অঞ্চলের একজনকেও উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়নি- এটা খুবই দুঃখজনক। অথচ একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জনকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে।

 

তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়নি। রংপুরের সন্তান বলেই তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে- এটা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষকে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ করেছে।

 

তারা অবিলম্বে আখতার হোসেনসহ উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচ জনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়ার দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করলো রংপুরের মানুষ, থম রক্ত দিলো আবু সাঈদ। তার আত্মদানের দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখলো- যার কারণে আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা, সেই আবু সাঈদের রংপুরকে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার বানানো হচ্ছে।

 

তারা আরও বলেন, আবু সাঈদ নিহত না হলে আজকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আসতো না। আন্দোলনের সুতিকাগার রংপুর, আর ১৩ জন উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পেলো এক বিভাগ থেকে- এ কেমন বিচার? অবিলম্বে দাবি পূরণ করা না হলে রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের রাজপথ ও রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

 

অবরোধ চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান আহামেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, সাজ্জাদ হোসেন, ডা. জামিল, নাহিদ হাসান খন্দকার, হামিম মোন্তাজির প্রমুখ।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

আখতারকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ না দিলে সড়ক-রেলপথ অবরোধ করা হবে

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আখতার হোসেনসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে পাঁচ জনকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে এই দুই বিভাগ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে কাউকে না রাখায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রাজপথ-রেলপথ ব্লকেডসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে রংপুর নগরী থেকে মিছিল নিয়ে আড়াই কিলোমিটার দূরে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 

তারা মহাসড়কে শুয়ে অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে রংপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন। অবরোধ করার কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।

 

ছাত্র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, আবু সাঈদের রংপুরের মানুষ আর কখনও বৈষম্যের শিকার হবে না। তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের একজন প্রতিনিধি নেননি। এ অঞ্চলের একজনকেও উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়নি- এটা খুবই দুঃখজনক। অথচ একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জনকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে।

 

তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়নি। রংপুরের সন্তান বলেই তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে- এটা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষকে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ করেছে।

 

তারা অবিলম্বে আখতার হোসেনসহ উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচ জনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়ার দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করলো রংপুরের মানুষ, থম রক্ত দিলো আবু সাঈদ। তার আত্মদানের দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখলো- যার কারণে আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা, সেই আবু সাঈদের রংপুরকে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার বানানো হচ্ছে।

 

তারা আরও বলেন, আবু সাঈদ নিহত না হলে আজকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আসতো না। আন্দোলনের সুতিকাগার রংপুর, আর ১৩ জন উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পেলো এক বিভাগ থেকে- এ কেমন বিচার? অবিলম্বে দাবি পূরণ করা না হলে রংপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের রাজপথ ও রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

 

অবরোধ চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান আহামেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, সাজ্জাদ হোসেন, ডা. জামিল, নাহিদ হাসান খন্দকার, হামিম মোন্তাজির প্রমুখ।