গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে সাভারের বিরুলিয়ায় থেকে মাথা ও দুই হাতের কবজি কাটা অবস্থায় শান্তা নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মরদেহ থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূরে দুই হাত ও মাথা উদ্ধার করা হয়।
নিহত শান্তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে বলে জানা গেছে। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা মস্তকবিহীন মরদেহটির খোঁজ পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীর স্বামী নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা গেছে।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ওয়াজেদ আলী জানান, রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মাথা ও কবজি থেকে হাত কাটা ছিল। পরে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে প্রায় ১৫০ গজ দূরে মাথা ও দুই হাতের অংশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলাকার সেতু নার্সারির ভেতর থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
পুলিশ জানায়, রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া মহল্লায় সেতু নার্সারিতে মালিরা গাছে পানি দিতে যায়। তখন হঠাৎ মাথা ও দুই হাত বিচ্ছিন্ন এক তরুণীর মরদেহ দেখতে পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন তারা।
পুলিশ আরো জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মাথা ও দুই হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই বা তিন দিন আগে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচ্ছিন্ন হাত এবং মাথা একটি বস্তার ভেতর পাওয়া যায়। তবে কে বা কারা ওই তরুণীকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।