বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় রাজধানীতে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও ও কলাবাগান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বাবুল ওরফে কসাই বাবুল (৫৪), খিলগাঁও থানার শান্তিপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজুল হক মুকুল (৪৯), পল্টন ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ফাহাদ উল্লাহ (৪০), কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কাউছার হাওলাদার (৫৫) ও নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান আল রোমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকাল বনশ্রী জি ব্লকে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অতর্কিতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ান সৈয়দ নাজমুল হাসান বুকে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় আব্দুল মালেক (৭০) বাদী হয়ে ১৩ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় খিলগাঁও থানার গোড়ান এলাকা থেকে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাবুল ও আজিজুলকে এবং সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোরে গোড়ানের শান্তিপুর এলাকা থেকে ফাহাদকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট পান্থপথ সিগন্যাল থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল। এদিন দুপুরে মিছিলটি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে কলাবাগান থানা শ্রমিক দলের সভাপতি রাসেল হাওলাদার (৩৮), ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কলাবাগান থানার দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ (৩৫) ও কলাবাগান থানা কৃষক দলের ওসমান গণি (৩৩) গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় কাজী ইয়াদ মইনুদ্দিন বাদী হয়ে গত ৭ নভেম্বর কলাবাগান থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার (১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে কাউছার ও হাসান আল-রোমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় থানা পুলিশ।