ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

সমকামিতা ‘প্রমোটকারী’দের শিক্ষা কমিশন থেকে বাদ দেওয়ার আহবান মামুনুল হকের

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক মন্তব্য করেছেন যে, শিক্ষা কমিশনের কিছু সদস্য সমকামিতাকে উৎসাহিত করছেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “যেসব সদস্য সমকামিতাকে প্রমোট করছেন, তাদের শিক্ষা কমিশন থেকে অপসারণ করা উচিত।”

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জামালপুরের সিংহজানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় তিনি ইসলামী শিক্ষাবিদ, আলেমদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। ‘এটা আমাদের অনুরোধ নয়, আমাদের অধিকারের কথা বলছি,’ বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, “আজ আমি জেলা শহরের মঞ্চ থেকে কথা বলছি, কিছুদিনের মধ্যে ঢাকায় বক্তব্য দেবো। তারপর শাপলা চত্বরে যাবো। আমাদের দাবির প্রতি যদি এখনও কোনো মনোযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা গণভবন এবং বঙ্গভবনের দিকে অগ্রসর হবো।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিগত সরকার যে আইন পাস করেছে, সেসব আইনে কোরআনবিরোধী ধারা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি নতুন করে কোনো ইসলামবিরোধী বা কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী ধারা আইনে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে শাপলা চত্বরে আরেকটি ‘কারবালা’ সংঘটিত হবে।”

মামুনুল হক বলেন, ‘বন্ধুত্বের জন্য আমরা অনেকের দিকে হাত বাড়াতে পারি, কিন্তু কেউ যদি প্রভুত্বের দৃষ্টি দেয়, আমরা সে চোখ উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত আছি। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে শুধুমাত্র আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের করায়ত্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী দেশের দাদাবাবুরা। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, সার্বভৌমত্বের অধিকারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তারা।’

তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদিরা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাও একইভাবে জনগণের ভোটাধিকার দমন করেছিলেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “একটি পরিবার কেবল ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটাধিকারকে পদদলিত করেছে। ভারত কখনোই বাংলাদেশে স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী চায়নি, বরং তারা এখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।”

শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জামালপুর জেলা শাখা এক গণসমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে খেলাফত মজলিসের বিভিন্ন আলেম ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এসব ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

সমকামিতা ‘প্রমোটকারী’দের শিক্ষা কমিশন থেকে বাদ দেওয়ার আহবান মামুনুল হকের

প্রকাশিত: ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক মন্তব্য করেছেন যে, শিক্ষা কমিশনের কিছু সদস্য সমকামিতাকে উৎসাহিত করছেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “যেসব সদস্য সমকামিতাকে প্রমোট করছেন, তাদের শিক্ষা কমিশন থেকে অপসারণ করা উচিত।”

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জামালপুরের সিংহজানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় তিনি ইসলামী শিক্ষাবিদ, আলেমদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। ‘এটা আমাদের অনুরোধ নয়, আমাদের অধিকারের কথা বলছি,’ বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, “আজ আমি জেলা শহরের মঞ্চ থেকে কথা বলছি, কিছুদিনের মধ্যে ঢাকায় বক্তব্য দেবো। তারপর শাপলা চত্বরে যাবো। আমাদের দাবির প্রতি যদি এখনও কোনো মনোযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা গণভবন এবং বঙ্গভবনের দিকে অগ্রসর হবো।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিগত সরকার যে আইন পাস করেছে, সেসব আইনে কোরআনবিরোধী ধারা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি নতুন করে কোনো ইসলামবিরোধী বা কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী ধারা আইনে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে শাপলা চত্বরে আরেকটি ‘কারবালা’ সংঘটিত হবে।”

মামুনুল হক বলেন, ‘বন্ধুত্বের জন্য আমরা অনেকের দিকে হাত বাড়াতে পারি, কিন্তু কেউ যদি প্রভুত্বের দৃষ্টি দেয়, আমরা সে চোখ উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত আছি। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে শুধুমাত্র আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের করায়ত্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী দেশের দাদাবাবুরা। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, সার্বভৌমত্বের অধিকারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তারা।’

তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদিরা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাও একইভাবে জনগণের ভোটাধিকার দমন করেছিলেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “একটি পরিবার কেবল ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটাধিকারকে পদদলিত করেছে। ভারত কখনোই বাংলাদেশে স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী চায়নি, বরং তারা এখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।”

শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জামালপুর জেলা শাখা এক গণসমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে খেলাফত মজলিসের বিভিন্ন আলেম ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এসব ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।