সম্প্রতি কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলে সানি জানিয়েছেন, গাজায় চলমান আগ্রাসন থামাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশর। গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে গাজা ও লেবানন সম্পর্কে বৈঠকের পর এই তথ্য জানান।
বৈঠক পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আলোচনাকারী দলগুলো শিগগিরই দোহা সফর করবে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ জোর দিয়ে বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো গঠনমূলক ও ইতিবাচক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে কাতার তাহলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ এবং হাসপাতালগুলোর ওপর ধারাবাহিক বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রেই নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষা করা এবং বেসামরিক জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা সকলের কর্তব্য। যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হতে পারে।
অপরদিকে কাতারে আলোচনা শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এ সময় কাতারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা কাতারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘গত কয়েক মাসে কাতার গাজায় হাজার হাজার টন মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে, যা কাতারের উদারতার নিদর্শন।’
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে এটি দোহায় ব্লিঙ্কেনের ১১তম কূটনৈতিক সফর ।
সূত্র: আল জাজিরা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা