ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না এ নিয়ে কথা বললেন নাহিদ ইসলাম

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজনৈতিক আলোচনা, সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‌‘বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’

বুধবার ( ২৩ অক্টোবর ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গণঅভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বতী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণ এই সরকারে অসন্তুষ্ট, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্মূল্যায়ন করছি।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না—বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। তবে এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলাকে। এ বিষয়েই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের দেশি বিদেশি যে চক্রান্ত চলছে, দেশে যেন এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কারণে মনে করছি, এটা রাজনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনগণের যেকোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সংহতি ও সংবেদনশীলতা রয়েছে। সবার কাছে আহ্বান থাকবে যাতে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সে বিষয়ে সবাই সচেতন থাকি এবং বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজটি আমরা সবাই পেয়েছি এবং সে বিষয়ে সবাই আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার এবং সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।’

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না এ নিয়ে কথা বললেন নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত: ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজনৈতিক আলোচনা, সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‌‘বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’

বুধবার ( ২৩ অক্টোবর ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গণঅভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বতী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণ এই সরকারে অসন্তুষ্ট, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্মূল্যায়ন করছি।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না—বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। তবে এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলাকে। এ বিষয়েই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের দেশি বিদেশি যে চক্রান্ত চলছে, দেশে যেন এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কারণে মনে করছি, এটা রাজনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনগণের যেকোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সংহতি ও সংবেদনশীলতা রয়েছে। সবার কাছে আহ্বান থাকবে যাতে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সে বিষয়ে সবাই সচেতন থাকি এবং বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজটি আমরা সবাই পেয়েছি এবং সে বিষয়ে সবাই আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার এবং সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।’