ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

ছাত্র আন্দোলনে আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না?

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণের দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে কেন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

 

আজ (বুধবার) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।

 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী রিটের বাদী। রিটকারীররা হলেন ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার , ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ও এডভোকেট খায়রুল বাশার।

 

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‍‍্যাবের মহাপরিচালক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

 

রিটে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের আদলে একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

 

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে অন্তত ৬৫০ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে সরকারের তথ্যানুযায়ী নিহত সহস্রাধিক। পত্রিকায় তথ্য অনুযায়ী আহতদের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।‌ এরমধ্যে চার শতাধিক মানুষ তাদের চোখ হারিয়েছেন। এর বেশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। বিবাদীদের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

 

রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ মাননীয় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করি। রিটের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় আদালত ছাত্র আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নে রুল জারি করেছেন।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

ছাত্র আন্দোলনে আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না?

প্রকাশিত: ০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণের দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে কেন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

 

আজ (বুধবার) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।

 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী রিটের বাদী। রিটকারীররা হলেন ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার , ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ও এডভোকেট খায়রুল বাশার।

 

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‍‍্যাবের মহাপরিচালক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

 

রিটে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের আদলে একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

 

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে অন্তত ৬৫০ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে সরকারের তথ্যানুযায়ী নিহত সহস্রাধিক। পত্রিকায় তথ্য অনুযায়ী আহতদের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।‌ এরমধ্যে চার শতাধিক মানুষ তাদের চোখ হারিয়েছেন। এর বেশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। বিবাদীদের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

 

রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ মাননীয় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করি। রিটের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় আদালত ছাত্র আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নে রুল জারি করেছেন।