ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

মানি লন্ডারিং মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করে আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। খবর বাসসের।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

প্রফেসর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল (ডিসচার্জ) আবেদন করি বিচারিক আদালতে। আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১২ জুন চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ১৫ জুলাই ধার্য করা হয়। আমরা আমাদের ডিসচার্জ আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করি। তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সাথে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪–এর প্রতি নির্দেশ দেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে তিনটি গ্রাউন্ডে লিভ টু আপিল দায়ের করি।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে মামলাটি নিম্ন আদালতে ৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানে ওইদিন বিগত সরকারের পতন হয়। ওইদিন বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। পরদিন আমরা আদালতে যাই। আদালত ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করেন। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে দুদক মামলাটি প্রত্যাহারে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, মামলাটি প্রত্যাহার অবৈধ ও আইনসংগতভাবে হয়নি।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

মানি লন্ডারিং মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করে আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। খবর বাসসের।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

প্রফেসর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল (ডিসচার্জ) আবেদন করি বিচারিক আদালতে। আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১২ জুন চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ১৫ জুলাই ধার্য করা হয়। আমরা আমাদের ডিসচার্জ আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করি। তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সাথে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪–এর প্রতি নির্দেশ দেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে তিনটি গ্রাউন্ডে লিভ টু আপিল দায়ের করি।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে মামলাটি নিম্ন আদালতে ৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানে ওইদিন বিগত সরকারের পতন হয়। ওইদিন বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। পরদিন আমরা আদালতে যাই। আদালত ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করেন। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে দুদক মামলাটি প্রত্যাহারে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, মামলাটি প্রত্যাহার অবৈধ ও আইনসংগতভাবে হয়নি।