ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

মানি লন্ডারিং মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করে আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। খবর বাসসের।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

প্রফেসর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল (ডিসচার্জ) আবেদন করি বিচারিক আদালতে। আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১২ জুন চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ১৫ জুলাই ধার্য করা হয়। আমরা আমাদের ডিসচার্জ আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করি। তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সাথে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪–এর প্রতি নির্দেশ দেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে তিনটি গ্রাউন্ডে লিভ টু আপিল দায়ের করি।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে মামলাটি নিম্ন আদালতে ৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানে ওইদিন বিগত সরকারের পতন হয়। ওইদিন বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। পরদিন আমরা আদালতে যাই। আদালত ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করেন। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে দুদক মামলাটি প্রত্যাহারে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, মামলাটি প্রত্যাহার অবৈধ ও আইনসংগতভাবে হয়নি।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

মানি লন্ডারিং মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করে আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। খবর বাসসের।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

প্রফেসর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল (ডিসচার্জ) আবেদন করি বিচারিক আদালতে। আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১২ জুন চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ১৫ জুলাই ধার্য করা হয়। আমরা আমাদের ডিসচার্জ আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করি। তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সাথে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪–এর প্রতি নির্দেশ দেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে তিনটি গ্রাউন্ডে লিভ টু আপিল দায়ের করি।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে মামলাটি নিম্ন আদালতে ৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানে ওইদিন বিগত সরকারের পতন হয়। ওইদিন বিচারিক আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। পরদিন আমরা আদালতে যাই। আদালত ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করেন। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে দুদক মামলাটি প্রত্যাহারে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, মামলাটি প্রত্যাহার অবৈধ ও আইনসংগতভাবে হয়নি।