ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় “ডানা”

গত দু’দিন ধরে সারাদেশেই মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত দেখা গেছে। বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় “ডানা”। এবার ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি ১৩০ কি.মি বেগে আঘাত হানতে পারে।

 

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়ে থাকি। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে একটা আশঙ্কা তো রয়েছে।”

 

তিনি আরো বলেন, “এই সাপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে৷ বিশেষ করে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

 

 

তবে ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলো । সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পুরো বাংলাদেশের ওপরে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

 

 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুকে পোস্টে দেশের আলু চাষিদের আগামী ২০ অক্টোবরের পরে জমিতে নতুন করে কৃত্রিম সেচ না দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের আলু চাষিদের তিনি এ পরামর্শ দেন।

 

তিনি বলেন, “সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা যে সময়ে বাংলাদেশে আঘাত করতে যাচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশের কৃষকরা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমিতে পাকা ধান থাকলে, তা কেটে মাড়াই করে গোলায় উঠাতে হবে। নাইলে, এগুলো নষ্ট হবে।”

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় “ডানা”

প্রকাশিত: ০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

গত দু’দিন ধরে সারাদেশেই মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত দেখা গেছে। বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় “ডানা”। এবার ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি ১৩০ কি.মি বেগে আঘাত হানতে পারে।

 

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়ে থাকি। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে একটা আশঙ্কা তো রয়েছে।”

 

তিনি আরো বলেন, “এই সাপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে৷ বিশেষ করে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

 

 

তবে ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলো । সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পুরো বাংলাদেশের ওপরে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

 

 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুকে পোস্টে দেশের আলু চাষিদের আগামী ২০ অক্টোবরের পরে জমিতে নতুন করে কৃত্রিম সেচ না দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের আলু চাষিদের তিনি এ পরামর্শ দেন।

 

তিনি বলেন, “সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা যে সময়ে বাংলাদেশে আঘাত করতে যাচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশের কৃষকরা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমিতে পাকা ধান থাকলে, তা কেটে মাড়াই করে গোলায় উঠাতে হবে। নাইলে, এগুলো নষ্ট হবে।”