সূচকের বড় ধরনের পতনের মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, যা ১.০৪ শতাংশ হ্রাসের সমান।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকেই পতন ঘটেছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪.৬৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ, ডিএসই-৩০ কমেছে ২২.১২ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ এবং ডিএসইএস কমেছে ১০.৫২ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ।
লেনদেনেও দেখা গেছে ঋণাত্মক প্রবণতা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা কম। তবে গড় দৈনিক লেনদেন কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৮টি, কমেছে ১৯৯টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতন দেখা গেছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১.০৮ শতাংশ এবং সিএসসিএক্স কমেছে ১.১৩ শতাংশ। একইভাবে, সিএসই-৫০ সূচক ১.১১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ০.৮৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ০.৬৪ শতাংশ কমেছে।
তবে লেনদেনে উল্টো চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রামে। সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকা বেশি। এ সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টি, কমেছে ১৭২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।