ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ভোলার ঐতিহ্যবাহী মইষা দই

ভোলার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার মহিষের দুধের কাঁচা টক দধি ‘মইষা দই’ জিওগ্রাফিকাল আইডেনটিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের কাছ থেকে স্বীকৃতির সনদ গ্রহণ করেন।

 

২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভোলা জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই পণ্যটি ৫৫টি জিআই পণ্যের মধ্যে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে ব্রান্ডিং পণ্যের স্বীকৃতি পায়। ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মাঝে গঠিত প্রায় ৩২টি চরে ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মহিষ লালনপালন করছেন স্থানীয় খামারিরা। প্রতিদিন এসব খামার থেকে প্রায় ৪০ টন দুধ উৎপাদিত হয়, যা দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে দই প্রস্তুত করেন ব্যবসায়ীরা।

 

মাটির হাড়িতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রেখে তৈরি করা এই দই প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। সামাজিক ও পারিবারিক আয়োজনে এই দধি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। হজমে সহায়ক হওয়ায় দেশজুড়ে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

 

ভোলা শহরের দই বিক্রেতা মো. সেলিম ও ইসলাম জানান, প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জিআই স্বীকৃতি পেয়ে তারা আনন্দিত এবং ব্যবসার পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।

 

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই স্বীকৃতি ভোলাবাসীর জন্য এক বড় অর্জন। মহিষের দুধের উৎপাদন বাড়াতে মহিষ পালনে খামারিদের সবসময় পরামর্শ ও টিকা প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

 

ভোলার ঐতিহ্যবাহী এই দই জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ আনন্দিত ও গর্বিত।

জনপ্রিয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ভোলার ঐতিহ্যবাহী মইষা দই

প্রকাশিত: ১২ ঘন্টা আগে

ভোলার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার মহিষের দুধের কাঁচা টক দধি ‘মইষা দই’ জিওগ্রাফিকাল আইডেনটিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের কাছ থেকে স্বীকৃতির সনদ গ্রহণ করেন।

 

২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভোলা জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই পণ্যটি ৫৫টি জিআই পণ্যের মধ্যে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে ব্রান্ডিং পণ্যের স্বীকৃতি পায়। ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মাঝে গঠিত প্রায় ৩২টি চরে ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মহিষ লালনপালন করছেন স্থানীয় খামারিরা। প্রতিদিন এসব খামার থেকে প্রায় ৪০ টন দুধ উৎপাদিত হয়, যা দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে দই প্রস্তুত করেন ব্যবসায়ীরা।

 

মাটির হাড়িতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রেখে তৈরি করা এই দই প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। সামাজিক ও পারিবারিক আয়োজনে এই দধি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। হজমে সহায়ক হওয়ায় দেশজুড়ে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

 

ভোলা শহরের দই বিক্রেতা মো. সেলিম ও ইসলাম জানান, প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জিআই স্বীকৃতি পেয়ে তারা আনন্দিত এবং ব্যবসার পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।

 

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই স্বীকৃতি ভোলাবাসীর জন্য এক বড় অর্জন। মহিষের দুধের উৎপাদন বাড়াতে মহিষ পালনে খামারিদের সবসময় পরামর্শ ও টিকা প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

 

ভোলার ঐতিহ্যবাহী এই দই জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ আনন্দিত ও গর্বিত।