২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিসহ প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা স্পষ্ট করে সাতটি করণীয় তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের কাছে এ চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজ ইউজিসির প্রস্তাবিত একটি সমন্বিত তত্ত্বাবধানে চলবে। ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রমও এই কাঠামোর অধীনেই পরিচালিত হবে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক কাঠামোর প্রধান হবেন সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ। সেই কাঠামোতে ঢাবির ভর্তি, পরীক্ষা, রেজিস্ট্রার ও হিসাব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, নতুন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও সনদ প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই দেওয়া হবে এবং বিষয়টি আগেই শিক্ষার্থীদের জানানো হবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলমান শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে চলবে। তবে শিক্ষার্থীদের যেন প্রশাসনিক ভবনে যেতে না হয়, সে জন্য কলেজে হেল্প ডেস্ক খোলা হবে।
ঢাবি ইউজিসির প্রস্তাবিত ‘নজরদারি সংস্থা’ শব্দটি পরিবর্তন করে ‘তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা’ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। এছাড়া সাত কলেজের হিসাব পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসাব খোলার কথাও বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সাত কলেজের জন্য পৃথক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ (ডিসিইউ) গঠনের পরিকল্পনাও চলছে।