ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার!

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার। হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন অবধি এই মহামারী নিয়ন্ত্রনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।

 

এ বছরের শুরুর দিকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে, ২০২৩ সাল অপেক্ষা ২৪ এ ভয়ংকর আকার ধারণ করবে ডেঙ্গু। তাদের সেই সতর্কবাণী সত্যি করে দিয়ে আসলেই এই বছর ডেঙ্গুর ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়েছে দেশ।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে: বিগত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ৮ জন, চলতি বছরে এ সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২২৩ জনে।‌ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিগত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১০৮ জন, এবং বছরের শুরু থেকে এ যাবৎকাল অবধি ভর্তির সংখ্যা ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন। তন্মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ হাজার ৯০৩ জন।

 

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে সে বিষয়ে আরো তিন মাস আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এখনো যদি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে অক্টোবরে আরো ভয়াল রুপ ধারণ করবে এই মশাবাহিত রোগ!

 

তাদের মতে, যারা এসব দায়িত্বে রত রয়েছেন তারা কাজকে স্রেফ চাকরি হিসেবেই দেখছেন, মানবিক দায়বদ্ধতা বা সেবামূলক কাজে তাদের গুরুত্ব বা অবহেলার পরিণতি সম্পর্কে তারা অসচেতন।

 

বর্তমানে এই বিষয়ে অবহেলা বহাল থাকলে তা আরো করুণ পরিণতি বয়ে আনবে। তাই বিশেষজ্ঞ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা যেন অতি সত্বর এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই মহামারী নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট হয়। নচেৎ মৃত্যুর পাল্লা আরো ভারী হবে বৈ কমবে না।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার!

প্রকাশিত: ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার। হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন অবধি এই মহামারী নিয়ন্ত্রনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।

 

এ বছরের শুরুর দিকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে, ২০২৩ সাল অপেক্ষা ২৪ এ ভয়ংকর আকার ধারণ করবে ডেঙ্গু। তাদের সেই সতর্কবাণী সত্যি করে দিয়ে আসলেই এই বছর ডেঙ্গুর ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়েছে দেশ।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে: বিগত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ৮ জন, চলতি বছরে এ সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২২৩ জনে।‌ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিগত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১০৮ জন, এবং বছরের শুরু থেকে এ যাবৎকাল অবধি ভর্তির সংখ্যা ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন। তন্মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ হাজার ৯০৩ জন।

 

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে সে বিষয়ে আরো তিন মাস আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এখনো যদি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে অক্টোবরে আরো ভয়াল রুপ ধারণ করবে এই মশাবাহিত রোগ!

 

তাদের মতে, যারা এসব দায়িত্বে রত রয়েছেন তারা কাজকে স্রেফ চাকরি হিসেবেই দেখছেন, মানবিক দায়বদ্ধতা বা সেবামূলক কাজে তাদের গুরুত্ব বা অবহেলার পরিণতি সম্পর্কে তারা অসচেতন।

 

বর্তমানে এই বিষয়ে অবহেলা বহাল থাকলে তা আরো করুণ পরিণতি বয়ে আনবে। তাই বিশেষজ্ঞ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা যেন অতি সত্বর এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই মহামারী নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট হয়। নচেৎ মৃত্যুর পাল্লা আরো ভারী হবে বৈ কমবে না।