ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভাঙচুর হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হলো দুই মাস ২৭ দিন পর । ক্ষতিগ্রস্ত এ স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।’

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।

আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।

ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।

কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এলে এক বছর নয়, দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশন, এরপর দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় সচল হয় ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

প্রকাশিত: ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভাঙচুর হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হলো দুই মাস ২৭ দিন পর । ক্ষতিগ্রস্ত এ স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।’

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।

আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।

ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।

কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এলে এক বছর নয়, দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশন, এরপর দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় সচল হয় ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।