ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভাঙচুর হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হলো দুই মাস ২৭ দিন পর । ক্ষতিগ্রস্ত এ স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।’

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।

আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।

ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।

কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এলে এক বছর নয়, দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশন, এরপর দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় সচল হয় ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

প্রকাশিত: ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভাঙচুর হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হলো দুই মাস ২৭ দিন পর । ক্ষতিগ্রস্ত এ স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।’

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।

আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।

ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।

কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এলে এক বছর নয়, দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশন, এরপর দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় সচল হয় ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।