প্রতিকূল আবহাওয়া ও লবণাক্ত পরিবেশ সত্ত্বেও বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, সরকারি প্রণোদনা ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা বোরো চাষে আগ্রহী হয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোংলার ৬টি ও রামপালের ১০টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৭০ হেক্টরে হাইব্রিড এবং ৮৫০ হেক্টরে উফশী জাতের ধান আবাদ হয়ে মোট ২২ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমন মৌসুমে দুই উপজেলায় ৮ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, যার মধ্যে হাইব্রিড ৮১০ হেক্টর, উফশী ৬ হাজার ৩১০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ১ হাজার ২৯৫ হেক্টরে আবাদ হয়। এতে উৎপাদন হয় ২৪ হাজার ৪০৩ মেট্রিক টন চাল।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই উপজেলায় খাদ্য চাহিদা ৩৬ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৭৯ মেট্রিক টন, ফলে ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন।
স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের মতে, গত ১০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে লবণ সহিষ্ণু বীজ ও সার বিতরণ, মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ, রোগবালাই দমন এবং জমির উপযোগী জাত নির্বাচন এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, পতিত জমিতে আবাদ বৃদ্ধি, মিষ্টি পানির ব্যবস্থা ও গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকারি সহায়তা ও কৃষকদের পরিশ্রমে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব।