ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

গাজায় হাসপাতালের রোগীদেরকেও পুড়িয়ে মারল ইসরাইল

ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় অবস্থিত আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আগুন ধরে যায়। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন।

 

রোববার সেন্ট্রাল গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থিত এই হাসপাতালের মাঠে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী তাঁবুতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ হামলার পরপরই আগুন ধরে যায়, যা ৩০টি তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই তাঁবুগুলোতে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে।

 

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মতে, ইসরাইলের এই আগ্রাসন দেখিয়ে দিল যে, গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়।

 

এছাড়াও আল-মুফতি স্কুলেও বোমা হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যেখানে ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার মধ্যে ১৫টি শিশু এবং একজন নারী ছিলেন। এই স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল এবং এটি কোনো যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল না।

 

আল-মুজাহিদিন প্রতিরোধ আন্দোলন এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি বিশ্বের নীরবতার প্রমাণ, যারা ইসরাইলের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে।

 

সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরাইল গাজাজুড়ে এই ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের ইচ্ছাকে ধ্বংস করা যায়।

 

ইসরাইলি বাহিনী গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে শিশুদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ শিশু নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

এসব ঘটনার জন্য যুদ্ধবাজ ইসরাইল এবং তার মিত্রদেরকেই সম্পূর্ণ দায়ী করেছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনগুলো। সূত্র: আল-মায়াদিন

জনপ্রিয়

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

গাজায় হাসপাতালের রোগীদেরকেও পুড়িয়ে মারল ইসরাইল

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় অবস্থিত আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আগুন ধরে যায়। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন।

 

রোববার সেন্ট্রাল গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থিত এই হাসপাতালের মাঠে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী তাঁবুতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ হামলার পরপরই আগুন ধরে যায়, যা ৩০টি তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই তাঁবুগুলোতে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে।

 

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মতে, ইসরাইলের এই আগ্রাসন দেখিয়ে দিল যে, গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়।

 

এছাড়াও আল-মুফতি স্কুলেও বোমা হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যেখানে ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার মধ্যে ১৫টি শিশু এবং একজন নারী ছিলেন। এই স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল এবং এটি কোনো যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল না।

 

আল-মুজাহিদিন প্রতিরোধ আন্দোলন এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি বিশ্বের নীরবতার প্রমাণ, যারা ইসরাইলের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে।

 

সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরাইল গাজাজুড়ে এই ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের ইচ্ছাকে ধ্বংস করা যায়।

 

ইসরাইলি বাহিনী গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে শিশুদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ শিশু নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

এসব ঘটনার জন্য যুদ্ধবাজ ইসরাইল এবং তার মিত্রদেরকেই সম্পূর্ণ দায়ী করেছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনগুলো। সূত্র: আল-মায়াদিন