ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দিনগত রাতে ধামরাই থানায় মনোয়ার হোসেনের বোন জেসমিন সুলতানা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলাটি করেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন উপজেলার বাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে হামলার শিকার হন বনেরচর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে নিরাপত্তাকর্মী মো. মনোয়ার হোসেন। হামলাকারীরা তাকে পেটাতে পেটাতে বাস্তা বাজার সংলগ্ন কুমেরপাড় এলাকায় নিয়ে ফেলে দেয়। এর পর পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর তিনি সুস্থভাবে তিন চার বছর পূর্বের কর্মস্থলে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরিও করেছিলেন। চাকরি করা অবস্থায় তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এরপর তিনি নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেনের বোন জেসমিন সুলতানা বাদী হয়ে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাস্তা গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে রাজিব হোসেন এবং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জলসা গ্রামের মোহাম্মদ কালাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুলাইমান সরকারসহ অর্ধ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ হত্যা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জেসমিন সুলতানা বলেন, হামলার কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ধামরাই থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি খুবই ক্রিটিক্যাল। আমি নিজেই মামলাটির তদন্ত করব। যাতে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি এ মামলায় হয়রানির শিকার না হয়।