ফিলিস্তিনে নির্বিঘ্নে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। প্রতিদিনই নারী-শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। অথচ মানবতাবিরোধী এ কর্মকাণ্ড বন্ধে নীরব রয়েছে মুসলিম বিশ্ব, জাতিসংঘ ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো। তবে বরাবরের মতো বাংলাদেশের জনগণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ‘প্যালেস্টাইন সাপোর্টিভ বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজির সন্ধানে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল)। আয়োজন করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (পুনাব)।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করতে হবে। কর্মসূচি, জনমত ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
আলোচনার প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট-এর পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ কণ্ঠস্বর। তাদের মেধা ও চেতনার ভিত্তিতেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে কার্যকর স্ট্র্যাটেজি গড়ে উঠতে পারে।
আলোচনায় অংশ নেন কর্নেল (অব.) আশরাফ আল দ্বীন, ব্যারিস্টার আবিদুর রহমান, গ্রীন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান ড. মো. আরিফুজ্জামান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির রেগান আহমেদ, এক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, উমামা ফাতেমা, তালহা, রাফে সালমান রিফাত এবং মূর্শিদুল আলম সিদ্দিকী।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম নয়, এটি একটি মানবিক বিষয়। বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান, ছাত্র সমাজের ভূমিকা, জনমত গঠন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ন্যায়ভিত্তিক অবস্থান উপস্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়, যেন তারা নেতৃত্ব দেয় একটি মানবিক ও কার্যকর কণ্ঠস্বর প্রতিষ্ঠায়, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।