ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক আজ মঙ্গলবার ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা করমর্দন করেন।

 

বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তাঁর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর), বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ এবং মিয়ানমারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন বুধবার ঢাকায় যোগ দেবেন।

 

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক আরোপসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, যার আওতায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। তবে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এর আগে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইউএসটিআর প্রতিনিধির কাছে পৃথক চিঠি পাঠান, যা বাংলাদেশ দূতাবাস হোয়াইট হাউস ও ইউএসটিআরের দপ্তরে পৌঁছে দেয়।

 

চিঠি পাঠানোর পরদিন ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানতে চায়, বাংলাদেশ কীভাবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে ভূমিকা রাখতে চায়।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত

প্রকাশিত: ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক আজ মঙ্গলবার ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা করমর্দন করেন।

 

বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তাঁর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর), বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ এবং মিয়ানমারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন বুধবার ঢাকায় যোগ দেবেন।

 

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক আরোপসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, যার আওতায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। তবে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এর আগে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইউএসটিআর প্রতিনিধির কাছে পৃথক চিঠি পাঠান, যা বাংলাদেশ দূতাবাস হোয়াইট হাউস ও ইউএসটিআরের দপ্তরে পৌঁছে দেয়।

 

চিঠি পাঠানোর পরদিন ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানতে চায়, বাংলাদেশ কীভাবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে ভূমিকা রাখতে চায়।