ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক আজ মঙ্গলবার ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা করমর্দন করেন।

 

বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তাঁর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর), বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ এবং মিয়ানমারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন বুধবার ঢাকায় যোগ দেবেন।

 

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক আরোপসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, যার আওতায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। তবে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এর আগে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইউএসটিআর প্রতিনিধির কাছে পৃথক চিঠি পাঠান, যা বাংলাদেশ দূতাবাস হোয়াইট হাউস ও ইউএসটিআরের দপ্তরে পৌঁছে দেয়।

 

চিঠি পাঠানোর পরদিন ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানতে চায়, বাংলাদেশ কীভাবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে ভূমিকা রাখতে চায়।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত

প্রকাশিত: ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক আজ মঙ্গলবার ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা করমর্দন করেন।

 

বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তাঁর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর), বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ এবং মিয়ানমারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন বুধবার ঢাকায় যোগ দেবেন।

 

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক আরোপসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, যার আওতায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। তবে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। এর আগে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইউএসটিআর প্রতিনিধির কাছে পৃথক চিঠি পাঠান, যা বাংলাদেশ দূতাবাস হোয়াইট হাউস ও ইউএসটিআরের দপ্তরে পৌঁছে দেয়।

 

চিঠি পাঠানোর পরদিন ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানতে চায়, বাংলাদেশ কীভাবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে ভূমিকা রাখতে চায়।