ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষের শোভাযাত্রার ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক ও তদন্ত

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি প্রতীকী মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ কে বা কারা ভোররাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় চারুকলা অনুষদ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ এপ্রিল ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে, যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোবাইল টিম নামাজ আদায়ে গিয়েছিল। আগুনে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুরোপুরি এবং ‘শান্তির পায়রা’ আংশিক পুড়ে গেছে।

 

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের বৈশাখী আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’, যার প্রতীকী প্রকাশ ছিল এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মুখাকৃতি মোটিফ। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার এই কাঠামো বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি ছিল, যাতে এক বিশালাকৃতির, ভয়ার্ত চেহারার নারীর মুখ তৈরি করা হয়।

 

 

এই প্রতীকী মোটিফটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে, কারণ অনেকেই এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্টুনধর্মী ব্যঙ্গচিত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। যদিও চারুকলা অনুষদ বা আয়োজকরা এটিকে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন, তবুও বিতর্ক এড়ানো যায়নি।

 

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের চেতনায় এবার নববর্ষ উদযাপনে ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চারুকলা অনুষদ। এই বার্তা থেকেই মূলত ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফের সৃষ্টি। কিন্তু এই প্রতীকী প্রতিবাদ শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের শিকার হলো অজানা আগ্রাসনে।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষের শোভাযাত্রার ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক ও তদন্ত

প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি প্রতীকী মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ কে বা কারা ভোররাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় চারুকলা অনুষদ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ এপ্রিল ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে, যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোবাইল টিম নামাজ আদায়ে গিয়েছিল। আগুনে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুরোপুরি এবং ‘শান্তির পায়রা’ আংশিক পুড়ে গেছে।

 

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের বৈশাখী আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’, যার প্রতীকী প্রকাশ ছিল এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মুখাকৃতি মোটিফ। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার এই কাঠামো বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি ছিল, যাতে এক বিশালাকৃতির, ভয়ার্ত চেহারার নারীর মুখ তৈরি করা হয়।

 

 

এই প্রতীকী মোটিফটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে, কারণ অনেকেই এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্টুনধর্মী ব্যঙ্গচিত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। যদিও চারুকলা অনুষদ বা আয়োজকরা এটিকে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন, তবুও বিতর্ক এড়ানো যায়নি।

 

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের চেতনায় এবার নববর্ষ উদযাপনে ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চারুকলা অনুষদ। এই বার্তা থেকেই মূলত ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফের সৃষ্টি। কিন্তু এই প্রতীকী প্রতিবাদ শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের শিকার হলো অজানা আগ্রাসনে।