ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর নির্যাতনে ওয়াসিম (২২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ইছামতী নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াসিম। বয়স আনুমানিক ২২ বছর (প্রায়)।বাড়ি বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়া।তার পিতার নাম রমজান আলী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, ওয়াসিম গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের জানান। বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ওয়াসিমের পরিবারের দাবি, ৮ এপ্রিল তিনি কয়েকজনের সঙ্গে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে যান ধূর পাচারের উদ্দেশ্যে। ফেরার পথে বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে, অন্যরা পালিয়ে এলেও ওয়াসিম ধরা পড়ে। এরপর নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয় বিএসএফ।
ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান জানান, ভাই মাঝেমধ্যে ভারত যাতায়াত করতেন। নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা ছিল।
৫৮ বিজিবি খালিশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মরদেহটি ভারতীয় অংশে থাকায় এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এটি সীমান্ত ইস্যু হওয়ায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ যোগাযোগের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সীমান্তে বিএসএফের ঘন ঘন বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন করে সামনে এসেছে।