যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর, ৫০টিরও বেশি দেশ হোয়াইট হাউসের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে যোগাযোগ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পর্ষদের পরিচালক কেভিন হেসেট।
হোয়াইট হাউসের কেভিন হেসেট জানান, ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর) জানিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর অন্তত ৫০টি দেশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা শুরু করতে চাচ্ছে।দেশগুলো বুঝেছে, ট্রাম্প প্রশাসন যেসব শুল্ক আরোপ করেছে, সেগুলোর প্রভাব পড়ছে তাদের অর্থনীতিতে।
স্কট বেসেন্ট আরো বলেন, এই দেশগুলো এখন ট্রাম্পকে “ক্ষমতার কেন্দ্রে” নিয়ে এসেছে।
অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা নাকচ করে বেসেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বেড়েছে, তাই অর্থনীতি ভালোই চলবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনার শর্ত হিসেবে তাইওয়ানের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছেন।তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দেন।
দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে একসঙ্গে এত দেশের সঙ্গে আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হবে।বিশ্বজুড়ে এই শুল্কনীতি বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কা তৈরি করেছে।