ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা

Palestinian children carry pots as they queue to receive food cooked by a charity kitchen, amid shortages in food supplies, as the conflict between Israel and Hamas continues, in Rafah in the southern Gaza Strip December 14, 2023. REUTERS/Saleh Salem/File Photo

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অমানবিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পুরো উপত্যকাটিকে অবরুদ্ধও করে রেখেছে তারা। সেনাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।

ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় চরম মানবিক সংকটও সৃষ্টি হয়েছে গাজায়। বোমাবর্ষণের কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের তালিকা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ২৩ লাখ মানুষের বাস। যারা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার প্রত্যেক মানুষই এখন ক্ষুধার্ত। তাদের মধ্যে ৪ ভাগের ১ ভাগ মানুষ অনাহারে রয়েছেন। ফাখরি বলেছেন, যুদ্ধের ইতিহাসে এরকম দ্রুতগতিতে কোনো জাতি দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধাপীড়িত হওয়ার রেকর্ড নেই। এ অঞ্চলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভিক্ষপীড়িত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

৭৬ বছর আগে, অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস শুরু হয়। তারপর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধার্ত রাখার নীতির দিকে ঝুঁকেছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সম্প্রতি গাজা উপত্যকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা আনরাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন। মুখপাত্র আরও বলেছেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কেও ছেড়ে গেছে। খাদ্য সহায়তা বিতরণের পরিমাণ জুলাইয়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর এবং অবকাঠামো মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নৃশংস অবরোধের কারণে নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধায় গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টেফান ডুজারিক।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অমানবিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পুরো উপত্যকাটিকে অবরুদ্ধও করে রেখেছে তারা। সেনাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।

ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় চরম মানবিক সংকটও সৃষ্টি হয়েছে গাজায়। বোমাবর্ষণের কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের তালিকা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ২৩ লাখ মানুষের বাস। যারা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার প্রত্যেক মানুষই এখন ক্ষুধার্ত। তাদের মধ্যে ৪ ভাগের ১ ভাগ মানুষ অনাহারে রয়েছেন। ফাখরি বলেছেন, যুদ্ধের ইতিহাসে এরকম দ্রুতগতিতে কোনো জাতি দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধাপীড়িত হওয়ার রেকর্ড নেই। এ অঞ্চলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভিক্ষপীড়িত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

৭৬ বছর আগে, অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস শুরু হয়। তারপর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধার্ত রাখার নীতির দিকে ঝুঁকেছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সম্প্রতি গাজা উপত্যকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা আনরাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন। মুখপাত্র আরও বলেছেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কেও ছেড়ে গেছে। খাদ্য সহায়তা বিতরণের পরিমাণ জুলাইয়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর এবং অবকাঠামো মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নৃশংস অবরোধের কারণে নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধায় গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টেফান ডুজারিক।