গাজায় ক্যান্সার রোগীদের জন্য একমাত্র বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হাসপাতালটি ২০১১ সালে তুরস্কের সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিআইকেএ-এর অর্থায়নে নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০১৭ সালে উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ৭ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটি গাজার বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ছিল, যা প্রতি বছর ৩০ হাজার ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রাখত।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় বিমান হামলা চালায়। এরপর জ্বালানি সংকটে ১ নভেম্বর হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। জাতিসংঘ তখন জানায়, হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্তত ৭০ জন রোগী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসার অভাবে সেখানে অন্তত চারজন রোগী মারা যান।
২০২৪ সালের মে মাসে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনারা পুরো হাসপাতালটি ধ্বংস করে দিচ্ছে। পরে ইসরায়েল নিজেই এ ঘটনাকে নিশ্চিত করে এবং দাবি করে যে, হামাস এই হাসপাতালটি সামরিক কাজে ব্যবহার করছিল। তবে এই দাবির পক্ষে ইসরায়েল কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
হাসপাতাল ধ্বংসের ঘটনায় তুরস্ক তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার সাধারণ মানুষের চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংস করা ইসরায়েলের সেই নীতিরই অংশ, যার মাধ্যমে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হচ্ছে।
হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গাজার হাজার হাজার ক্যান্সার রোগী চরম চিকিৎসা সংকটে পড়েছেন।