পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনও রয়েছেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সময় এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পেয়ে অভিযান শুরু করেছিল। অভিযানে নিহত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হাসনাইনকে ‘একজন সাহসী অফিসার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি পূর্ববর্তী অভিযানে তার সাহস ও দক্ষতার জন্য প্রশংসিত ছিলেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিক হামলা চালানোর পাশাপাশি নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এই ঘটনায় আইএসপিআর একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, “এই এলাকায় একটি স্যানিটাইজেশন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাহসী তরুণ অফিসারদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তান বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিকসিএসএস) এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ঘটনার পর, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আরও জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।