রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হ্যাপী এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় এক নিরাপত্তাকর্মীর সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। শিশুটিকে আরবি পড়ানোর সময় সে বাসার ওয়াশরুমের দরজা আটকে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
পরিবার বিষয়টি জানার পর খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার তদন্ত শেষে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার ২০২১ সালের ২৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
সব দিক বিবেচনা করে আদালত জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে। এই রায় শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, “আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
এই রায়ের মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশা করছে, এটি সমাজে এ ধরনের অপরাধ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।