স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট (এফআইডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের শাখাকে কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ব্যাংক শাখা থেকে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে।
নির্দেশনার মূল বিষয়বস্তু:
- শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করানো এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন: প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক শাখাকে তাদের নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে স্কুল ব্যাংকিং সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
- ব্যাংকিং সেবা প্রদান: শিক্ষার্থীরা সরাসরি ব্যাংক শাখা থেকে সকল ধরনের ব্যাংকিং সেবা/পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে।
নির্দেশনাসমূহ:
১)শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন: জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে প্রতিটি ব্যাংক শাখাকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২)হিসাব খোলা ও পরিচালনা: শিক্ষার্থীদের হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩)ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন: প্রতিটি জেলা/উপজেলার স্কুল ব্যাংকিং সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাংক শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অবহিত করবে এবং প্রতিবেদন দাখিল করবে।
৪) অগ্রগতি প্রতিবেদন: স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ এবং আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখের এফআইডি সার্কুলার লেটার নং-০১ অনুযায়ী ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এই নির্দেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করানো এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে সচেতন হবে এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।