ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

১০৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল ৬৪০, পাস করানোর দাবিতে মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ

চকরিয়া সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পাস করানোর দাবিতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে হাজারো যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে কলেজ অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

 

গতকাল সোমবার দুপুর বারোটার দিকে চকরিয়া সরকারি কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, চকরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ও অনিয়মিত প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী সমপ্রতি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৯ জন, মানবিক ১১০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১০৯জন শিক্ষার্থী পাস করে। এতে ফেল করে ৬৪০ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগের সীমান্ত বড়ুয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথমবার ফলাফলে আমি পাস করেছি। কিন্তু দ্বিতীয়বার সংশোধিত ফলাফলে আমার নাম নেই। আমাকে ফেল দেখানো হয়েছে। এই রকম অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবারে পাস করলেও পরে তাকে ফেল হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাই আমরা এই ফলাফল বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ফলাফল পুর্নবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

 

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজ বন্ধ, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়ে লেখাপড়া করতে না পারায় নির্বাচনী পরীক্ষা তেমন ভাল করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া খাতা নিরীক্ষণে শিক্ষকদের কড়াকড়ির কারণে এই ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। এদিকে দুইবার ফলাফল ঘোষণা কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলেও মনে করছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

 

এ বিষয়ে চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষা পরিচালনায় একটি কমিটি রয়েছে। তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

১০৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল ৬৪০, পাস করানোর দাবিতে মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ

প্রকাশিত: ০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

চকরিয়া সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পাস করানোর দাবিতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে হাজারো যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে কলেজ অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

 

গতকাল সোমবার দুপুর বারোটার দিকে চকরিয়া সরকারি কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, চকরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ও অনিয়মিত প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী সমপ্রতি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৯ জন, মানবিক ১১০ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১০৯জন শিক্ষার্থী পাস করে। এতে ফেল করে ৬৪০ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগের সীমান্ত বড়ুয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথমবার ফলাফলে আমি পাস করেছি। কিন্তু দ্বিতীয়বার সংশোধিত ফলাফলে আমার নাম নেই। আমাকে ফেল দেখানো হয়েছে। এই রকম অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবারে পাস করলেও পরে তাকে ফেল হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাই আমরা এই ফলাফল বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ফলাফল পুর্নবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

 

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজ বন্ধ, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়ে লেখাপড়া করতে না পারায় নির্বাচনী পরীক্ষা তেমন ভাল করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া খাতা নিরীক্ষণে শিক্ষকদের কড়াকড়ির কারণে এই ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। এদিকে দুইবার ফলাফল ঘোষণা কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা বলেও মনে করছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

 

এ বিষয়ে চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষা পরিচালনায় একটি কমিটি রয়েছে। তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।