উত্তর পশ্চিম থাইল্যান্ডে মিয়ানমার সীমান্তে স্ক্যাম সেন্টার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় উদ্ধারকৃতদের সব ধরণের সহযোগিতা করবে দূতাবাস।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেন ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫ জনের মুক্তির কথা আমরা শুনেছি। তবে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে ৪ জনের। ২ জনকে ইতিমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরপরে যে দুইজনের তথ্য আমরা পেয়েছি তারা এখনো মিয়ানমারে রয়েছেন। সেখানে যাচাই বাছাই শেষে ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গেও আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
ফাইয়াজ মুরশিদ বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভিক্টিমদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। যেমন প্রথম দুজনের ক্ষেত্রে আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বলেছি, আপনারা দ্রুত টিকেট পাঠালে এখনই ফেরত পাঠানো যাবে। সরকারি প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠাতে সময় লাগবে। পরিবার সেখানে সমর্থন দিয়েছে। আমরাও সকল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি।
থাইল্যান্ড মিয়ানমার সীমান্তে গড়ে উঠা স্ক্যাম কল সেন্টারগুলো থেকে প্রতিনিয়তই উদ্ধার হচ্ছে মানুষ। তবে উদ্ধারকৃতদের সবাইকে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে মিয়ানমারের ডিকেবিএ দাবি করেছে ফান্ড সংকটের কারণে সকলকে এখনই নিজ দেশে পাঠানো যাচ্ছে না।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ধারণা করছে প্রায় ১০ হাজার অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হবে স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে। এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব স্ক্যাম কল সেন্টারে এআই ব্যাবহার করে নারী সেজে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হয়। এরপর ব্যাংকিং চ্যানেল জানা হলে বা বিনিয়োগের কথা বলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়।
ঠিক কী পরিমাণ বাংলাদেশি সেখানে আটক রয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন। আবার অনেকেই এই স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে করতে সেই অপরাধের জগতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। তাদের আর ফেরত আসা হয় না। আবার যারা স্ক্যাম সেন্টারের জন্য বেশি আয় করতে পারেন, তাদেরকে সহজে ছাড়ে না মালিকরা।
মুক্ত হওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন চায়নিজ নাগরিক। এরপর ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। এরপর ভারতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।