ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে নওফেল-রেজাউলের বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিমসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার বাকলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি প্রকাশ পায় গতকাল রোববার। মামলায় ১২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী। মামলাটিতে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ৭ নম্বর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ৮ নম্বরে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি ইলিয়াছ চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য থানাকে আদেশ দেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালতের আদেশে শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।’

মামলার বাদী মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘আমি পিকআপ চালাই। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। সেদিন আন্দোলনে মিছিল করতে আমি কয়েকজন বন্ধুসহ সেখানে গিয়েছিলাম। তারা আমার হাতের রগ কেটে দিয়েছে। সব প্রমাণ আছে। আমি মামলা করতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করি।’

মামলায় এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের কাছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা তাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি তা প্রতিহত করেন এবং এতে তার ডান হাতের কবজির রগ কেটে যায় এবং অন্যরা তাকে মারধর করে।

হামলাকারীদের ভয়ে তিনি সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে নওফেল-রেজাউলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিমসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার বাকলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি প্রকাশ পায় গতকাল রোববার। মামলায় ১২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী। মামলাটিতে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ৭ নম্বর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ৮ নম্বরে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি ইলিয়াছ চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য থানাকে আদেশ দেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালতের আদেশে শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।’

মামলার বাদী মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘আমি পিকআপ চালাই। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। সেদিন আন্দোলনে মিছিল করতে আমি কয়েকজন বন্ধুসহ সেখানে গিয়েছিলাম। তারা আমার হাতের রগ কেটে দিয়েছে। সব প্রমাণ আছে। আমি মামলা করতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করি।’

মামলায় এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের কাছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা তাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি তা প্রতিহত করেন এবং এতে তার ডান হাতের কবজির রগ কেটে যায় এবং অন্যরা তাকে মারধর করে।

হামলাকারীদের ভয়ে তিনি সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।