ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি চাঁদপুরে পুকুর খননের সময় মিলল পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে আইন উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার

কাল তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

চুক্তি অনুযায়ী দখলদার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। শুক্রবার তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে তারা। তারা হলেন, সাশা ত্রুফানভ, সাগুই দেকেল-চেন এবং লায়ার হর্ন। তাদের সবাই-ই পুরুষ। এর বদলে দখলদার ইসরায়েল প্রায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে এই জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত ঘোষণা করেছিল হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছিল, ইসরায়েল জিম্মি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় তারা জিম্মিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে। হামাস ওই সময় জানায়, ইসরায়েল গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না, প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ভারী সরঞ্জাম। যেগুলো দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করা হবে। এছাড়া তাঁবু ও অস্থায়ী বাড়ি প্রবেশেও ইসরায়েল বাধা প্রদান করছিল বলে জানায় হামাস। তারা জিম্মি মুক্তি স্থগিত করায় ওই সময় যুদ্ধবিরতিটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এমনকি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দেন, শনিবার জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হলে এদিন থেকেই গাজায় আবার তীব্র হামলা চালানো শুরু করবেন তারা। যদিও তাদের চুক্তি ভঙ্গের কারণেই হামাস ওই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টায় হামাস আবারও জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের ওই হুমকির পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজায় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। যদিও ভারী সরঞ্জাম ও অস্থায়ী বা

ড়িবাহী ট্রাকগুলো এখনো মিশরের রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে আছে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে চুক্তি হয়, গাজায় প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক ত্রাণ, ভারী সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিসপত্র প্রবেশ করবে। কিন্তু ইসরায়েল দিনে মাত্র ১০০টির মতো ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছিল।

জনপ্রিয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ

কাল তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

প্রকাশিত: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চুক্তি অনুযায়ী দখলদার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। শুক্রবার তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে তারা। তারা হলেন, সাশা ত্রুফানভ, সাগুই দেকেল-চেন এবং লায়ার হর্ন। তাদের সবাই-ই পুরুষ। এর বদলে দখলদার ইসরায়েল প্রায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে এই জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত ঘোষণা করেছিল হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছিল, ইসরায়েল জিম্মি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় তারা জিম্মিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে। হামাস ওই সময় জানায়, ইসরায়েল গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না, প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ভারী সরঞ্জাম। যেগুলো দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করা হবে। এছাড়া তাঁবু ও অস্থায়ী বাড়ি প্রবেশেও ইসরায়েল বাধা প্রদান করছিল বলে জানায় হামাস। তারা জিম্মি মুক্তি স্থগিত করায় ওই সময় যুদ্ধবিরতিটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এমনকি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দেন, শনিবার জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হলে এদিন থেকেই গাজায় আবার তীব্র হামলা চালানো শুরু করবেন তারা। যদিও তাদের চুক্তি ভঙ্গের কারণেই হামাস ওই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টায় হামাস আবারও জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের ওই হুমকির পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজায় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। যদিও ভারী সরঞ্জাম ও অস্থায়ী বা

ড়িবাহী ট্রাকগুলো এখনো মিশরের রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে আছে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে চুক্তি হয়, গাজায় প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক ত্রাণ, ভারী সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিসপত্র প্রবেশ করবে। কিন্তু ইসরায়েল দিনে মাত্র ১০০টির মতো ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছিল।