ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

৩২ নম্বর ভবনের নিচে পানি সেচের পর যা মিললো

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির বেজমেন্টে সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।

কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা। তবে সকাল থেকে সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে। এ সময় তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টে উৎসুক মানুষের ভিড়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে আসছেন এবং ঘুরে দেখে চলে যাচ্ছেন। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বলেন- এখানে কী জানি পাওয়া গেছে, তাই দেখতে এসেছি।

উৎসুক মানুষের ভিড়ে থাকা মাসুম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এখানে ‘আয়নাঘর’ আছে। এখানে পানির নিচে অনেক ঘর আছে, মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বলে শুনেছি, তবে এখনও দেখিনি।

ওই বিল্ডিংয়ের যে জায়গাটি ঘিরে এতো আলোচনা সেখানে নেমে পানি সেচের কাজ করছিলেন একজন তরুণ শ্রমিক। তিনি পানির নিচে হাতিয়ে দেখেছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে কিছু না পেয়ে পরে উঠে যান।

যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে কিছু নাই, এটা লিফটের জন্য জায়গা করা বলে মনে হচ্ছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদস্বরূপ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ‘ছাত্র-জনতা’। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা।

সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।

তবে দুপুরে এই পুরো বেজমেন্টে সরেজমিন দেখা যায়, বেজমেন্টের প্রথম তলা শুকনো থাকলে দ্বিতীয় তলায় পানি জমে আছে। এই পানির ভেতর অনেককেই ‘কোনও কিছু’ খুঁজতে দেখা যায়। আবার কাউকে কাউকে বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সেচের কাজ শেষ করেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

সেচের কাজ শেষ করে দুপুর ১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করে।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

৩২ নম্বর ভবনের নিচে পানি সেচের পর যা মিললো

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির বেজমেন্টে সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।

কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা। তবে সকাল থেকে সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে। এ সময় তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টে উৎসুক মানুষের ভিড়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে আসছেন এবং ঘুরে দেখে চলে যাচ্ছেন। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বলেন- এখানে কী জানি পাওয়া গেছে, তাই দেখতে এসেছি।

উৎসুক মানুষের ভিড়ে থাকা মাসুম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এখানে ‘আয়নাঘর’ আছে। এখানে পানির নিচে অনেক ঘর আছে, মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বলে শুনেছি, তবে এখনও দেখিনি।

ওই বিল্ডিংয়ের যে জায়গাটি ঘিরে এতো আলোচনা সেখানে নেমে পানি সেচের কাজ করছিলেন একজন তরুণ শ্রমিক। তিনি পানির নিচে হাতিয়ে দেখেছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে কিছু না পেয়ে পরে উঠে যান।

যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে কিছু নাই, এটা লিফটের জন্য জায়গা করা বলে মনে হচ্ছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদস্বরূপ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ‘ছাত্র-জনতা’। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা।

সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।

তবে দুপুরে এই পুরো বেজমেন্টে সরেজমিন দেখা যায়, বেজমেন্টের প্রথম তলা শুকনো থাকলে দ্বিতীয় তলায় পানি জমে আছে। এই পানির ভেতর অনেককেই ‘কোনও কিছু’ খুঁজতে দেখা যায়। আবার কাউকে কাউকে বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সেচের কাজ শেষ করেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

সেচের কাজ শেষ করে দুপুর ১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করে।